এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত নেতাদের সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী

এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত নেতাদের সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী !

বাংলানিউজ ॥ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই ব্যবসাবান্ধব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই ব্যবসাবান্ধব, ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে পরিবেশ সৃষ্টি করি। নিজেরা ব্যবসা করি না, অর্থনীতির উন্নয়নে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেই।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত নেতারা সাক্ষাত করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সরকার ব্যাংক লোনে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ব্যবসা ও শিল্পায়নের প্রসারে ব্যাংক লোনের সুদ কমিয়ে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ে আসার কথা।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের রফতানি নির্ভর না হয়ে অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টিতেও জোর দিতে বলেন। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যত বাড়বে দেশীয় বাজার তত বড় হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিশাল সমুদ্র সম্পদ ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স দিতে আরও উৎসাহী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ট্যাক্স ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কাজে লাগবে। সরকার এ দিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিতে পারবে।
জেলায় জেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ উদ্যোগ স্থানীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যুত উৎপাদনে সরকার শুরু থেকে উচ্চ মূল্যে জ্বালানি কিনে আসছে। এতে ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ করতে হয়েছে। যার মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা গেছে। নতুন অনেক গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনসহ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে সরকারের নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এলপিজি আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলিন্ডার তৈরিতে সরকার ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে খুব একটা সাড়া পায়নি।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট চারলেন মহাসড়কসহ সারাদেশের সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএম) কানেকটিভির উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক এ কানেকটিভিটি ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন প্রদক্ষেপ ও সফলতার প্রশংসা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমানসহ এফবিসিসিআই নেতা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

তথ্যসূত্র – জনকণ্ঠ -প্রথম পাতা ।